দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : ফের বড় ধাক্কা তৃণমূল শিবিরে । প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পর এবার তার অনুগামী বলে পরিচিত বিষ্ণুপুরের তিন যুবনেতা , বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান সহ বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১০ জন প্রাক্তন কাউন্সিলার তৃণমূলের প্রাথমিক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন । প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় , তিন যুবনেতা সুদীপ্ত সেন , জয়দীপ দাস , মানস বোস সহ ১০ জন বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার দল ছাড়লেন । বাঁকুড়া জেলা সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তারা । একযোগে এতজন কাউন্সিলর এর পদত্যাগ এই প্রথম । স্বাভাবিক ভাবেই আলোড়ন জেলার রাজনীতি তো বটেই রাজ্যের রাজনীতিতেও । বিজেপিতে যোগ দেবেন সকলেই বলে জানিয়েছেন তারা । দলে থেকেও কোনো সম্মান পান নি বলে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন বিদ্রোহীরা । ফের বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলে বড় ধাক্কা। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা, বিষ্ণুপুর পৌর সভার পৌর প্রধান, প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটলেন তাঁর অনুগামীরা। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় 'তৃণমূল ত্যাগে'র কথা ঘোষণার পরই প্রাক্তন উপ পৌর প্রধান বুদ্ধদেব মুখার্জী সহ ১২ জন তৃণমূল থেকে গণ ইস্তফা দিলেন। জেলা তৃণমূল সভাপতির উদ্দেশ্যে লেখা ঐ গণ ইস্তফার চিঠিতে লেখা হয়েছে, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের প্রতি যে অবহেলা এবং সাংগঠনিক কাজ করতে না দেওয়া তার প্রতিবাদে আমরা দল থেকে পদত্যাগ করলাম'। ঐ চিঠিতে 'কেউ দীর্ঘ ৩৫ বছর উপ পৌর প্রধান, আবার কেউ ১০ থেকে ২৫ বছরের কাউন্সিলর' বলে উল্লেখ করেছেন। যাতে প্রাক্তন উপ পৌর প্রধান বুদ্ধদেব মুখার্জী সহ পর্যায়ক্রমে সই রয়েছে রবিলোচন দে, শ্রীকান্ত ব্যানার্জী, মমতা কুণ্ডু (৮ নম্বর ওয়ার্ড), আনন্দ রায়, উদয় ভকত, সিদ্ধেশ্বর ধীবর, সন্ধ্যা দাস, রাখী ক্ষেত্রপাল, মমতা কুণ্ডু, গোপা মুখার্জী ও চৈতালী চৌধুরী দাসের। প্রত্যেকেই এক চিঠিতে তৃণমূল জেলা সভাপতির কাছে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা ও তা দ্রুত কার্যকরী করার দাবি জানিয়েছেন। এক সাথে ১২ জন তৃণমূল নেতা নেত্রীর দল ছাড়ার খবরে বেজায় অস্বস্তিতে শাসক শিবির। এই ঘটনায় বিষ্ণুপুর পৌর এলাকায় ঘাস ফুল শিবির সংখ্যালঘু হয়ে পড়লো বলে জেলা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন।